যৌনতার উত্তেজনা কমাতে সেক্স ডল ব্যবহার দিনে দিনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে দুনিয়া জুড়ে। বহুকাল আগে থেকেই এ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল কম নয়। এবার এই সেক্স ডল নিয়েই রইল বেশ কিছু অজানা তথ্য।
১) সেক্স ডলের প্রতি এতটাই মোহ যে এক ব্যক্তি বিয়েটাই সেরে ফেললেন এক পুতুলের সঙ্গে। স্ত্রীর মর্যাদাও দিয়েছেন নাকি সেই সেক্স ডলকে। সঙ্গে আরও বেশ কিছু পুতুল রয়েছে স্ত্রীয়ের সখীর ভূমিকায়। মিচিগানে এমনই এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যিনি নিজের এই অদ্বুত পরিবারকে নিয়ে বেশ সুখেই সংসার করছেন। এখানেই শেষ নয়, তাদের প্রত্যেকের আবার ট্যুইটারে অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
২) জাপানে এই সেক্স ডলদেরই বলা হয়ে থাকে ডাচ ওয়াইভ। কারণ, দীর্ঘদিন সমুদ্রযাত্রা করার সময় নিজেদের প্রয়োজনের জন্যই ডাচরা এমন এক অভিনব উপায়ের সাহায্য নেয়। সৃষ্টি করে ফেলে সেক্স ডল বা ট্রাভেল লেডি। এবং এই সৃষ্টিকে তাদের হাত ধরে জাপানে ছড়িয়ে পড়ে।
৩) জানা যায় বার্বির সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণার কাজ করেছে এই সেক্স ডল। এক মোহময়ী জার্মান অভিনেত্রীর আদলে একসময় তৈরি হয় এক পুতুল, শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। যার যৌনাঙ্গ না থাকলেও, যৌন সুড়সুড়ি দেওয়ার ক্ষমতা ছিল ভরপুর। শোনা যায়, তারই ছোঁয়া রয়েছে আধুনিক বার্বির মধ্যে।
৪) এইসব পুতুলের ওজন সম্পর্কে কোনো ধারণা আছে আপনাদের? জানা যায়, ৭৫ পাউন্ড থেকে ১১৫ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয় সিন্থেটিক সেক্স ডলের।
৫) মেয়ে সেক্স ডল যতটা জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য, ছেলে সেক্স ডল কিন্তু ততটাই দুর্লভ। তবে কিছু কিছু কোম্পানী ছেলে পুতুল গুলিকে আরও কিভাবে জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে উঠে পড়ে লেগেছে।
৬) কিছু মানুষ তো বাস্তবে রক্তমাংসের মেয়েদের বায়নাক্কা এড়াতে এই সব সেক্স ডলকেই নিজের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এই পুতুলরা কখনও মিথ্যে বলে না, বিশ্বাঘাতকতা করে না, বাধ্য মেয়ের মতো সব কথা শোনে, এবং সর্বোপরি তাদের জন্য মাত্র ‘ওয়ান টাইম ইনভেস্টমেন্ট’।